নোয়াখালী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ করে বলেছেন, তাঁর নির্বাচনী এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে গণগ্রেপ্তার চলছে। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে মহড়া দিচ্ছে। পুলিশ এসব অপরাধের কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিএনপির দুই নেতাকর্মীকে অপহরণ করে গুলি করা হয়েছে। আহত হয়ে এসব নেতাকর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হলেও পুলিশ কোনো মামলা নিচ্ছে না।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবের সঙ্গে দেখা করে চিঠি দিয়ে লিখিতভাবে এসব অভিযোগ জানান ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন। কমিশন এসব বিষয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।

আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর প্রথম দিন থেকেই চাটখিল-সোনাইমুড়ি এলাকায় পুলিশ আগ্রাসী হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘বিনা কারণে বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি করছে পুলিশ। পাশাপাশি সারা দেশেও পুলিশ গণগ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে। নোয়াখালীর রিটার্নিং কর্মকর্তাকেও এসব অভিযোগের বিষয়ে জানানো হয়েছে।’

বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশ আগ্রাসী ভূমিকা পালন করছে বলে সাংবাদিকদের জানান মাহবুব উদ্দিন খোকন। অভিযোগ করে তিনি বলেন, পুলিশ নির্বাচন কমিশনের কোনো কথা শুনছে না। ইসি গণগ্রেপ্তার বন্ধ করতে বললেও পুলিশ এসব আমলে নিচ্ছে না। নতুন নতুন মামলায়, মাদক দিয়ে কর্মীদেরও ফাঁসানো হচ্ছে। চাটখিলের ওসি এক বিএনপি নেতাকে আটক করে তাঁর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, প্রচারণার শুরুর দিন থেকেই পুলিশের ওপর কমিশনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। পুলিশ, সরকারি অফিসার, আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছেন। রিটার্নিং অফিসাররা চেষ্টা করেও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় রাখতে পারছেন না। এসব অনিয়ম বন্ধে কমিশনকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান মাহবুব উদ্দিন খোকন। সেই সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি করা ও অপরাধের ক্ষেত্রে দ্রুত শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।