নির্বাচনের তিন দিন সতর্ক থাকতে হবে : সিইসি
নির্বাচনের দিন ছাড়া আগের ও পরের দিন সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। নির্বাচনের পরদিনই যাতে কেউ শোডাউন না করে, সেদিকেও তিনি নজর রাখতে বলেছেন।
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে নির্বাচনে দায়িত্ব পাওয়া বিচারিক হাকিমদের সঙ্গে সিইসি কথা বলেন। এ সময় তিনি এসব নির্দেশনা দেন।
কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, নির্বাচনের পরের দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের আগের দিন ও নির্বাচনের দিন যতটা না সংঘাত হয়। তার থেকে বেশি সংঘাত হয় নির্বাচনের পরের দিন। অতি উৎসাহী লোক ও প্রতিহিংসাপরায়ণদের কারণে এসব হয়ে থাকে। ভোটের পরের দিন মিছিলের কারণে অনেকের মনে আঘাত লাগে, অনেকে কষ্ট পায়। এতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট হয়। আপনারা এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন, সজাগ থাকবেন। নির্বাচনী আইনে আছে নির্বাচনের পরের দিন কোনো শোডাউন হবে না। এটাকে কঠোরভাবে দেখতে হবে।’
এ ছাড়া কোনো সহিংসতা ঘটার আগেই সেখানে ব্যবস্থা নিতে বলেন কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে সহিংসতার সৃষ্টির আগেই আপনারা অবস্থান করবেন। কেউ যেন কোনো ধরনের সহিংসতার প্রস্তুতি না নিতে পারে। সেটাই যথেষ্ট। সেখানে ত্বরিতগতিতে আপনাদের উপস্থিতি, সারা দেশে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখবে। ওটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
নুরুল হুদা আরো বলেন, ‘এটা বলার এবং বোঝার অপেক্ষা রাখে না যে, নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু আমাদের লক্ষ রাখতে হবে যে, উত্তাপ এই পরিবেশ যেন উত্তপ্ত না হয়। উত্তপ্ত হয়ে নির্বাচনী পরিবেশ যেন ব্যাহত না হয়, ব্যাঘাত না ঘটে। সে কারণে আমাদের এই আয়োজন। আমাদের প্রস্তুতি।’
বিচারিক হাকিমদের উদ্দেশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের কাজ শুধু ৩০ তারিখ। সেদিন ভোট হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ করা, যেন কোনো সংঘাত না হয়, ভুল বোঝাবুঝি না হয়। সবাই যেন নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেন, সেটা বুঝিয়ে দেওয়া। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য। বিচারকাজটাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করবেন, এটাই আমাদের কামনা। বিচার করে একেবারে জেলে পাঠিয়ে দেবেন, এটাও কাম্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা। এর জন্য যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই প্রয়োগ করবেন।’
এখন পর্যন্ত নির্বাচনকে ঘিরে বড় কোনো সংঘাত ঘটেনি দাবি করে সিইসি বলেন, ‘কমিশন অত্যন্ত আশাবাদী, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের মাঠে থাকবে। হাজার হাজার মানুষ থাকবে। সব রাজনৈতিক দল একটি পজিটিভ অ্যাটিটিউড নিয়ে নির্বাচন শুরু করে দিয়েছে। এত বড় নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। আপনারা যখন মাঠে যাবেন, আর কোনো সংঘাত ঘটবে বলেও মনে করি না। আপনারা সফল ও সার্থক নির্বাচন করবেন বলে আমরা আশাবাদী।’
কে এম নুরুল হুদা আরো বলেন, ‘বিচারকদের মানুষের সঙ্গে মিশলে কোনো ক্ষতি নেই। মিক্সড আপ হবেন না। আপনার ব্যক্তিত্ব কতটা শক্তিশালী, তার ওপর নির্ভর করে আপনি প্রভাবিত হবেন কি হবেন না। আইন, বিবেক আছে, আপনাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা, ব্যক্তিত্ব প্রয়োগ করে একটি সুন্দর ও সাবলীল নির্বাচন করতে পারবেন।’