অন্তুর আত্মহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি
কিশোরগঞ্জের শিক্ষার্থী ফৌজিয়া খানম অন্তুর (২৩) ‘আত্মহত্যা’র ঘটনায় প্ররোচনাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আজ সোমবার সরকারি গুরুদয়াল কলেজের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়। অন্তুর সহপাঠীসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়।
অন্তু সরকারি গুরুদয়াল কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী ছিলেন। গত ৭ ডিসেম্বর জেলা শহরের রাকুয়াইল এলাকার নিজ বাসা থেকে অন্তুর লাশ উদ্ধার করা হয়। গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল অন্তুর।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের অভিযোগ, এক সহকারী জজ ও তাঁর বন্ধুদের প্ররোচনায় অন্তু আত্মহত্যা করেছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র ইসমাইল হোসেন ইদু, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জেড এম কাইয়ুম, শাহজাহান কবীর হিমেল, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক রুবেল, অন্তুর মামা তাজ উদ্দিন আহমদ মানিক ও আতিকুর রহমান সেলিম।
মানববন্ধনে বক্তারা অন্তুর আত্মহননের ঘটনাকে নিছক আত্মহত্যা নয় দাবি করে এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেন।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে।
আত্মহত্যার আগে অন্তুর ডায়েরিতে ‘সুইসাইড নোট’ লেখা ছিল।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান হাবীব জানিয়েছেন, ‘খবর পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশ তদন্তের জন্য অন্তুর সুইসাইড নোট ও তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি জব্দ করেছে। এ ছাড়া ঘটনার পরের দিন শনিবার অন্তুর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।’
অন্তুর মা সুলতানা খানম বলেন, ‘শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার কারণে তিনদিন পর আজ বিকেলে আমি বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’