সার্টিফায়েড কপি না পেয়ে প্রার্থীদের ক্ষোভ
গত দুইদিনে ৩১০ জন প্রার্থীর আপিল নিষ্পত্তি হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নিষ্পত্তির পরই প্রার্থীদের একটি ‘সার্টিফায়েড কপি’ দেওয়া হয়। যা দিয়ে প্রার্থীরা চাইলে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারেন।
তবে আজ শুক্রবার রাতেও অধিকাংশ প্রার্থী ওই ‘সার্টিফায়েড কপি’ পাননি বলে অভিযোগ করেন। ওই কপির দাবিতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচন ভবনে অবস্থান নেন। প্রার্থীরা একাধিক দফায় নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবুও শুক্রবার রাতেও কপি পাননি তাঁরা।
সার্টিফায়েড কপি না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রার্থীরা। সন্ধ্যায় অর্ধশতাধিক প্রার্থী ও সমর্থক নির্বাচন ভবনের সামনে অবস্থান নেন। তাঁরা দ্রুত ওই কপি দেওয়ার দাবি জানান।
নিয়ম অনুযায়ী উচ্চ আদালতে আপিল করতে হলে সম্ভাব্য প্রার্থীকে অবশ্যই সার্টিফায়েড কপি জমা দিতে হবে উচ্চ আদালতে।
বগুড়া-৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী মো. আবদুর রাজ্জাক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ সকাল ১০টা থেকে নির্বাচন কমিশনে সার্টিফায়েড কপির অপেক্ষায় বসে আছি। কারণ আমাদের আজ সকাল ১০টায় এটা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। এ সার্টিফায়েড কপি না পাওয়ার কারণে আমি উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারছি না।’
রাজ্জাক আরো বলেন, ‘একবার বলা হয় দুপুর ২টার দিকে দেওয়া হবে। পরে বিকাল এবং সন্ধ্যার কথাও বলা হয়। সন্ধ্যার পরেও আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি দেওয়া হবে কি না। কারণ এ নিয়ে কিছুই জানতে পারিনি।’
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী মিজানুল হক বলেন, ‘সকাল সাড়ে আটটা থেকে বসে আছি। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারিনি সার্টিফায়েড কপি পাব কি পাব তা নিশ্চিত হতে পারিনি। উচ্চ আদালতে আপিল করতে হলে এখনই কপিটি দরকার। প্রতীক বরাদ্দের পর এ কপি নিয়ে তো আমি খাব না। আমাকে সব প্রসেসের ভেতর দিয়ে যেতে হবে। এতে সময় সংকট দেখা দেবে।’
একই বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বগুড়া- ৪ আসনের আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেন, ‘সার্টিফায়েড কপি না পেলে দফারফা করব, সংবাদ সম্মেলন করব। আমাকে উচ্চ আদালতে যেতে হবে। গতকাল গণমাধ্যমে বলেছি যে আজই হাইকোর্টে আপিল করব। কিন্তু আমি কপি না পেয়ে যেতে পারছি না।’
একই প্রতিক্রিয়া জানান, লালমনিরহাট-১ আসনের আবু হেনা মো. এরশাদ হোসেন, নাটোর-৪ আসনের ডি এম রনি পারভেজ আলম।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (আইন শাখা) মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমরা অনেক ব্যস্ত। আমাদের আরো অনেক কাজ করতে হয়। এ কারণে এ বিষয়ে সব কাজ করতে পারিনি।’ আজ ওই কপি দিতে পারবেন না বলেও তিনি জানান।
তবে সন্ধ্যার পর থেকে কয়েকজনকে সার্টিফায়েড কপি দেওয়া হয়।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা খুব ব্যস্ত। শুনানির জন্য অন্য কাজে সময় দিতে পারছি। এ কপি কখন দেব তা জানি না। তবে আজ রাতে হয়তো দেব।’