আপিলেও ভোট-ভাগ্য খুলল না রুহুল আমিন হাওলাদারের
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেও প্রার্থিতা ফিরে পেলেন না জাতীয় পার্টির সদ্য সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের ১১ তলায় দ্বিতীয় দিনের মতো নির্বাচন কমিশনের আপিল এজলাসে রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। এর আগে ঋণখেলাপির অভিযোগে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
পরে গত মঙ্গলবার রুহুল আমিন হাওলাদারের পক্ষে তাঁর আইনজীবী নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করেন। আজও তিনি নির্বাচন কমিশনে ছিলেন না। তাঁর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন আইনজীবী। তিনি পটুয়াখালী-১ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী ছিলেন। তাঁর স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্না বরিশাল-৬ আসন থেকে নির্বাচন করছেন। তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ঢাকা চলচ্চিত্রের নায়ক মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। আজ ইসির আপিল এজলাসে সোহেল রানার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় সোহেল রানার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল। তিনি বরিশাল-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী।
সারা দেশ থেকে আসা ৫৪৩টি আপিল আবেদনের প্রথম দিন ১৬০ জনের শুনানি নেওয়া হয়।
এর মধ্যে ৮০ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করা হয়, অন্যদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে ৭৬ জনের। এ ছাড়া চারজন প্রার্থীর আবেদন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ১১ তলায় এ লক্ষ্যে গঠিত এজলাসে আপিল আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এ আপিল শুনানি করছেন। ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিচারকদের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা গত ৩ ডিসেম্বর ৮৪টি, ৪ ডিসেম্বর ২৩৭টি এবং গত বুধবার শেষ দিনে ২২২টি আবেদন দায়ের করেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর থেকে প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।