মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে এসে শ্রীঘরে
আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগের একটি মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অভিযোগে দুই সাক্ষীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আকতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে সাক্ষীদের প্রভাবিত করায় মামলার একমাত্র আসামির জামিন বাতিল করে তাঁকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত সাক্ষীরা হলেন, মো. আব্দুস সত্তার ও লাকি বেগম।
আদালতসূত্রে জানা যায়, দুই সাক্ষী কদমতলী থানার ৩০(১০) ২০০৮ নম্বর মামলার অভিযোগপত্রের সাক্ষী।
আজ তাঁরা মামলাটিতে আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেন।
সাক্ষীরা ঘটনার সময় পুলিশের কাছে মামলার ঘটনা সংক্রান্ত জবানবন্দি দেন। কিন্তু আজ তাঁরা আদালতে হাজির হয়ে মামলার ঘটনা সংক্রান্ত কোনো সাক্ষ্য না দিয়ে বরং পুলিশের কাছে তাঁরা কোনো সাক্ষ্য দেন নাই বলে জানান। পরে আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা আদালতের কোনো সমন না পেয়ে আসামির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সাক্ষ্য দিতে এসেছেন বলে স্বীকার করেন।
পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে সাক্ষীদের প্রভাবিত করায় আসামিরও জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং ঢাকার মুখ্য বিচারক হাকিমের আদালতকে ওই সাক্ষীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরেরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
নথি থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানাধীন জাহানাবাদের কায়সার আহমদের মেয়ে সৈয়দা অনামিকা ওরফে সোমার (২৬) বিয়ে হয় ঢাকার কদমতলী থানাধীন দক্ষিণ দনিয়ার মনিরুজ্জামান পলাশের সঙ্গে।
পরে মনিরুজ্জামান পলাশ পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য সোমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। পরে নির্যাতন সইতে না পেরে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর সোমা শশুরবাড়ীতে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ওই ঘটনায় ওই বছর ১৬ অক্টোবর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন সোমার বাবা।