একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনসহ গ্রেপ্তার হওয়া সব আইনজীবীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি। একই সঙ্গে সব দল থেকে আইনজীবীদের বেশি করে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকার রিপোর্টার্স ফোরামে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি। এ সম্মেলনে দাবিগুলো তুলে ধরেন সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মো. খসরুজ্জামান।

শাহ মো. খসরুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি সমগ্র দেশের আইনজীবী সমিতিগুলোর ফেডারেশন। গত আশির দশকে আইনজীবীদের গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনজীবীগণ অতীতের মতো দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারেন। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা আইনজীবীদের একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।’

জাতীয় সংসদে আইনজীবীদের সংখ্যা বাড়াতে আইনজীবীদের বেশি করে মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানান শাহ মো. খসরুজ্জামান।

খসরুজ্জামান বলেন, ‘১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ আইনজীবী পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে বিভিন্ন কারণে এ সংখ্যা কমতে কমতে এখন সীমিত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, দেশের ব্যবসায়ীগণ ওই শূন্যস্থান পূরণ করার সুযোগ নিয়েছেন। তাই আমরা সব রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন অধিক সংখ্যক আইনজীবীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে আইনজীবীদের আইনপ্রণেতা বানানোর একটি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়।’

এ ছাড়া আইনজীবীদের প্রচারণা চালাতে ‘নির্বাচনী প্রচারণা কমিটি’ গঠন করা হয়েছে বলেও জানান শাহ মো. খসরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে নির্বাচনী এলাকায় যেখানে আইনজীবীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, সেসব এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ৩১ সদস্যবিশিষ্ট একটি নির্বাচনী প্রচারণা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সামসুল জালাল চৌধুরী এবং সদস্য সচিব আডভোকেট আবুল বাশার। আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ওই কমিটির প্রচারণা কাজ শুরু হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল জালাল চৌধুরী, ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আবুল বাশার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আনামুল হক, মিজানুর রহমান, আবুল কাশেম রাজু, অ্যাডভোকেট সায়মা খান প্রমুখ।