আমাদের আটকানোর জন্যই মনোনয়নপত্র বাতিল : ডা. জাহিদ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ড্যাব মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ আটকাতেই দেশব্যাপী দলটির মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে নিজ মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যান ডা. জাহিদ। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে ডা. জাহিদ বলেন, ‘বাংলাদেশে যে গত নবম ও দশম এবং এই যে ১১তম সংসদ নির্বাচন হচ্ছে, এখানেও অনেক প্রার্থী আছেন, যাঁরা দণ্ডপ্রাপ্ত এবং যাঁরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত মন্ত্রিত্ব করে যাচ্ছেন। এবং তাঁদের কারোই কিন্তু এবারও মনোনয়নপত্র বাতিলও হয় নাই এবং কারোটার ব্যাপারে আপত্তিও হয় নাই। শুধু আপত্তি হয়েছে আমাদের আটকানোর জন্য বা আমাকে আটকানোর জন্য। সে জন্যই আমরা আপিল করেছি।’ আপিলে যথাযথ ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডা. জাহিদ।
আজ দ্বিতীয় দিনের মতো মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল দায়ের চলছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করছেন দেশব্যাপী মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা, যাদের বেশিরভাগই বিএনপি মনোনীত প্রার্থী।
গতকাল প্রথম দিন মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন ৮৩ জন। এ ছাড়া নেত্রকোনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মানু মজুমদারের প্রার্থিতা বৈধ হলেও তাঁর বিরুদ্ধে আপিল করেছেন অপর প্রার্থী শাহ কুতুব উদ্দিন তালুকদার। তিনি অভিযোগ করেন, মানু মজুমদার ঋণখেলাপি।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর সেই সব আপিলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত পুনঃতফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।