ঘুম থেকে উঠিয়ে ছাত্রকে বলাৎকার, মাদ্রাসা ভাঙচুর
গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদ্রাসার একাধিক ছাত্রকে বলাৎকার করার অভিযোগে আজ রোববার ওই মাদ্রাসা ও এর পরিচালকের বাসায় ভাঙচুর করেছে এলাকাবাসী।
ঘটনার পর থেকে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড এলাকার মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক কারি মুহাম্মদ নূরুল আলম পলাতক।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় দুই বছর আগে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড এলাকায় নিজ জমিতে মসজিদ ও মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা স্থাপন করে নিজেই পরিচালনা করে আসছিলেন কারি মুহাম্মদ নূরুল আলম। প্রতিদিনের মতো গতকাল শনিবার রাতে ওই মাদ্রাসার সব ছাত্র ঘুমিয়ে পড়ে। এসময় মাদ্রাসার ছাত্র স্থানীয় এক শিশুকে (৯) ঘুম থেকে তুলে একটি কক্ষে নিয়ে বলাৎকার করেন মুহাম্মদ নূরুল আলম। পরদিন শিশুটির অস্বাভাবিক আচরণ দেখে স্বজনরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। শিশুটি জানায়, বড় হুজুর (মুহাম্মদ নূরুল আলম) তাকে বলাৎকার করেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসী আজ বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিলে ওই শিক্ষক মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যান।
এদিকে এলাকাবাসী আজ মাদ্রাসায় গিয়ে নূরুল আলমকে না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং নূরুল আলমের বিচার দাবি করেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত এলাকাবাসী মাদ্রাসায় ও ওই শিক্ষকের বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।
স্থানীয় সামান উদ্দিন সাদিক ও আবুর কালাম উদ্দিন জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শুধু এবারই নয়, এর আগেও মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করার অভিযোগ রয়েছে। শনিবারের ঘটনার পর ওই শিক্ষক নিজেই বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করা হয়নি।