সিরাজগঞ্জে সাবেক দুই প্রতিমন্ত্রীসহ বিএনপির ৮ জনের মনোনয়ন বাতিল
সিরাজগঞ্জের ছয়টি আসনে বিএনপির সাবেক দুই প্রতিমন্ত্রীসহ ১৮ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। বাকি ৩৩ জনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। আজ রোববার সন্ধ্যায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু নূর মো. শামছুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের, রায়গঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি আইনুল হক ও চৌহালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ দলটির আটজনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমসহ ছয়টি আসনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর, ঋণ খেলাপির দায়ে মঞ্জুর কাদের এবং পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান আইনুল হক ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকা, ব্যাংক ঋণ, বিল খেলাপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১০ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতি থাকার অভিযোগে বাকি প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী সেলিম রেজার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় আয়-ব্যয়ের হিসাবে গড়মিল থাকায়। সিরাজগঞ্জ-২ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী আমিন কোরাইশির মনোনয়ন বাতিল হয় ঋণ খেলাপির কারণে। একই কারণে সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ ও রায়গঞ্জ) আসনে বিএনপির সাইফুল ইসলাম শিশিরের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এ আসনে দলের আরেক প্রার্থী ও রায়গঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি আয়নুল হকের মনোনয়ন বাতিল করা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পদত্যাগপত্র স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে না আসায়। এ আসনে আহসান হাবিব ও জিয়াউর রহমানের মনোনয়ন বাতিল করা হয় স্বাক্ষরের গড়মিল ও অন্যান্য ভুলের কারণে।
সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে বিএনপির খোন্দকার গোলাম আজাদ, স্বতন্ত্র আব্দুর রহমান, আব্দুল হাসেম ও সোলেয়মানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে স্বাক্ষরের গড়মিল ও অন্যান্য ভুলের কারণে।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাতিল করা হয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পদত্যাগপত্র স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে না আসায়। এখানে বিএনপির আরেক প্রার্থী মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদেরের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে ঋণ খেলাপির কারণে। জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আলমের স্বাক্ষরের গড়মিল ও অন্যান্য ভুলের কারণে মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ড. এম এ মুহিতের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে আয়-ব্যয়ের হিসাবে গড়মিল থাকায়। এখানে মাসুদুর রহমান সরকারের (স্বতন্ত্র) মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে স্বাক্ষরের গড়মিল ও অন্যান্য ভুলের কারণে।