‘জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি আদালত বিবেচনায় নিতে পারে’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে যে বিষয়টি এসেছে তা আদালত বিবেচনায় নিতে পারে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘(জামায়াতকে) নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার। নির্বাচনেরও আর মাত্র ২৮ দিন বাকি আছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারটি সরকারের হাতে নেই, আদালতও এই সময়ে এটি করতে পারবে তা মনে হয় না। তবে আদালত বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারে।’
‘সেটা ম্যাটার অব টাইম, নট বিফোর ইলেকশন। নির্বাচনের আগে বিষয়টি সেটেল্ড হবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই’, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দেশের স্থিতিশীলতা ও ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের জন্য চলমান হুমকি উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারকে তাদের রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে।
বিলটিতে বলা হয়, বাংলাদেশে বিগত নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। যার ফলে ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৯৫টি হিন্দু বাড়ি ধ্বংস করা হয়। ৫৮৫টি দোকানে হামলা ও লুট এবং ১৬৯টি উপাসনালয় ভাঙচুর করা হয়। এতে আরো বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী কর্মীরা সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত।
আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকরা বিষয়টির অবতারণা করলে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার, নির্বাচনেরও আর মাত্র ২৮ দিন বাকি আছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারটি সরকারের হাতে নেই, আদালতও এই সময়ে এটি করতে পারবে তা মনে হয় না।
‘তবে আদালত বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারে। তারাও নিশ্চয় মিডিয়ার যে রিপোর্ট যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে তা লক্ষ্য করেছেন, পর্যবেক্ষণ করেছেন। সেখানে জামায়াতের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের যে অবজার্ভেশন, সে বিষয়টি নিশ্চয় তাদের (আদালতের) গোচরে গেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নীতি-আদর্শ, শুধুমাত্র স্ট্র্যাটেজি নয়, আগে মনে করা হতো স্ট্র্যাটেজিক ম্যাটার, যেমন জাতীয় পার্টির এরশাদ সাহেবের সঙ্গে আমাদের স্ট্র্যাটেজিক অ্যালায়েন্স। বিএনপি এবং জামায়াতের সম্পর্কটা নীতি-আদর্শের ব্যাপারে দাঁড়িয়েছে।’
‘বিএনপি সারা বছরই জামায়াতকে নিয়ে একসঙ্গেই কাজ করে। বিএনপির কোনো সভা-সমাবেশের আয়োজনে জামায়াতই মূল অংশ হয়ে যায়। জামায়াতের লোকজনই বিএনপির সমাবেশে দৃশমান ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়, এটা হাইড অ্যান্ড সিক করার কিছু নেই, ইট ইজ নাউ ওপেন সিক্রেট।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে গণতন্ত্রের চর্চা আছে, তারা তাদের কংগ্রেসের বিভিন্ন কমিটিতে বা হাউস অব কমন্সে নিজেদের জন্য যে রিপোর্ট তারা করে, সেখানে নানান বিষয় আসে, সেখান থেকে একটা অংশকে নিয়ে কেউ যদি তাদের স্বার্থে কাজে লাগায়, তাহলে আপাতদৃষ্টিতে একটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।