প্রয়াণদিবসে আনিসুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আনিসুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৩০ নভেম্বর। এই উপলক্ষে আজ শুক্রবার নানা আয়োজনে স্মরণ করা হয়েছে সাবেক নগরপিতাকে।
সকালে রাজধানীর বনানীতে আনিসুল হকের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণ, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এদিকে, রাজধানী গুলশান আজাদ মসজিদে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করেন আনিসুল হকের পরিবারের সদস্যরা।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর লন্ডনের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাত্র ৬৫ বছর বয়সে মারা যান আনিসুল হক।
জীবিতাবস্থায় সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বহু কাজের জন্যে প্রশংসিত হয়েছেন আনিসুল হক। ২০১৫ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন আনিসুল হক।
এরপরই রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়ে আলোচিত ও প্রশংসিত হন তিনি।
তেজগাঁও ট্রাক টার্মিনালের সামনের রাস্তা থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে জনগণের পথ জনগণকে ফিরিয়ে দেন আনিসুল হক। নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে তিনি হাতে নেন পাঁচ হাজার ডাস্টবিন বসানোর কাজ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে ৭২টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণে তাঁর নেতৃত্বে উদ্যোগ নেয় ডিএনসিসি। ডিএনসিসির বহু এলাকায় পুরোদমে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ ও পুনর্নিমানের কাজ চালু করেন তিনি। এছাড়া আনিসুল হক ডিএনসিসি এলাকা থেকে ২২ হাজার বিলবোর্ড অপসারণ করান।
টিভি উপস্থাপক হিসেবেও এক সময় খুবই জনপ্রিয় ছিলেন আনিসুল হক। তাছাড়া, ২০০৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি ছিলেন ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।