নরসিংদীতে বিএনপির প্রার্থী খোকন কারাগারে
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-১ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খায়রুল কবির খোকনকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন জামিন নিতে আদালতে হাজির হলে নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আতাবুল্লাহ তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি বিস্ফোরকদ্রব্য আইন ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে নরসিংদী সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। ওই মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ২৭ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। সেখানে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের নাম ছিল না। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ২৫ নভেম্বর ২৭৩ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেখানে খোকনকেও অভিযুক্ত করা হয়।
খায়রুল কবির খোকন বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মো. আতাবুল্লাহ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগের দিন বুধবার সকালে খোকন আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নরসিংদী-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও খায়রুল কবিরের আইনজীবী আবদুল বাছেত ভূঁঞা বলেন, এটি আসলে একটি গায়েবি মামলা। গত ৮ তারিখে নরসিংদীতে এমন কোনো কিছু হয়নি। তারপরও পুলিশ বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ২৭ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। সেখানে খায়রুল কবির খোকন এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন না। কিন্তু তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হওয়ায়, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গত ২৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খায়রুল কবির খোকনসহ ২৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দেন।
আবদুল বাছেত ভূঁঞা আরো বলেন, এ ঘটনায় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন খোকন। কিন্তু আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। যেহেতু সামনের নির্বাচনে তিনি একজন প্রার্থী সেহেতু আমরা প্রয়োজনে উচ্চ আদালতের সহযোগিতা চাইব।