ঢাকা-১৫ আসনে ‘ধানের শীষ’ নিয়ে লড়বেন জামায়াত নেতা শফিকুর
ঢাকা-১৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান। জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় তিনি লড়বেন ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে।
আজ বুধবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
মতিউর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, মোট ২৫টি আসনে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। এর মধ্যে ঢাকা-১৫ আসনে ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষে দুপুর পৌনে ২টার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।
এর আগে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীকে ২৫টি আসন দেওয়া হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এসব প্রার্থী বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে লড়াই করবেন। জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুল হালিম এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবদুল হালিম বলেন, ‘ঢাকা-১৫ আসনে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমানকে ২০ দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।’
এ ছাড়া পিরোজপুর ১-এ শামীম সাঈদী, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ড. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরসহ সারা দেশে ২৫টি আসনে জামায়াতে ইসলামীকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।
আগামী নির্বাচনে জামায়াত কোন প্রতীকে নির্বাচন করবে—জানতে চাইলে নির্বাহী পরিষদের এই সদস্য বলেন, ‘যেহেতু আদালতের রায়ে আমাদের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে,সে ক্ষেত্রে জোটের প্রধান দল বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেব আমরা।’
আবদুল হালিম আরো বলেন, ‘২৫টি আসনের প্রায় সবকটিতে আগে আমাদের প্রার্থী একাধিকবার বিজয়ী হয়েছেন।’
‘ধানের শীষ’ প্রতীকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া জামায়াতের প্রার্থীরা হলেন আবদুল হাকিম (ঠাকুরগাঁও-২), মোহাম্মদ হানিফ (দিনাজপুর-১),আনোয়ারুল ইসলাম (দিনাজপুর-৬), মনিরুজ্জামান মন্টু (নীলফামারী-২), আজিজুল ইসলাম (নীলফামারী-৩), গোলাম রব্বানী (রংপুর-৫), মাজেদুর রহমান সরকার (গাইবান্ধা-১), রফিকুল ইসলাম খান (সিরাজগঞ্জ-৪), ইকবাল হুসেইন (পাবনা-৫), মতিউর রহমান (ঝিনাইদহ-৩), সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের (কুমিল্লা-১১), হামিদুর রহমান আজাদ (কক্সবাজার-২), শামসুল ইসলাম (চট্টগ্রাম-১৫), আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদত হোসাইন (যশোর-২), আবদুল ওয়াদুদ (বাগেরহাট-৩), আবদুল আলিম (বাগেরহাট-৪), মিয়া গোলাম পরওয়ার (খুলনা-৫), আবুল কালাম আযাদ (খুলনা-৬), রবিউল বাশার (সাতক্ষীরা-৩), আবদুল খালেক (সাতক্ষীরা-২), গাজী নজরুল ইসলাম (সাতক্ষীরা-৪), শামীম সাঈদী (পিরোজপুর-১), ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী (সিলেট-৫), হাবিবুর রহমান (সিলেট-৬) ও শফিকুর রহমান (ঢাকা-১৫)।