মুন্সীগঞ্জে মনোনয়ন জমা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ
মুন্সীগঞ্জে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশের দুজন সদস্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে জেলার টঙ্গিবাড়ী বাজার এলাকায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদের সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়।
টঙ্গিবাড়ী ও সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আসাদুজ্জামান বলেন, আজ মিজানুর রহমান সিনহা ও অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদের মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয়পক্ষের ১০ জনকে আটক করা হয়, উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র। ওই ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানান এএসপি।
ঘটনার পর পরই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে বলে জানান টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন।
টঙ্গিবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তার মোল্লা, বেতকা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রিগ্যান শিকদার, শাহাদাত, আমির হোসেন, বিপ্লব, জনি, এরশাদ, মিজানুর ও শহীদসহ দশজনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী বাজার এলাকায় আজ বুধবার বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি : এনটিভি
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার জানান, দুপুরের দিকে মিজানুর রহমান সিনহা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সে সময় বাইরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে সংঘর্ষের ব্যাপারটি অস্বীকার করে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আজাদ জানান, সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মিজানুর রহমান সিনহার সঙ্গে তাঁর কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আর কিছুক্ষণ পর তিনি লৌহজং উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাবেন বলে জানান।
মিজানুর রহমান সিনহাও বিএনপির মধ্যে কোনো অন্তর্কোন্দল নেই বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, বিএনপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোনো কোন্দল নেই। তেমন কোনো কিছুর কারণে সংঘর্ষ ঘটেনি।
এ ঘটনায় মামলা করবেন কি না জানতে চাইলে মিজানুর রহমান সিনহা বলেন, সবকিছু দেখে ঠিক করব, মামলা করব কি না। আমি এখনো ঠিকভাবে জানতে পারিনি সংঘর্ষে কতজন আহত হয়েছে।