ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার ছয় মাসের জামিন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তিন বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাঁর আপিল ও শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রফিকুল ইসলাম মিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।
সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। আপিলে দণ্ড থেকে খালাস না চেয়ে আদেশ স্থগিত চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে অসুস্থতার কারণে জামিন আবেদন করা হয়।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহাবুব এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০১ সালের ৭ এপ্রিল সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তাঁর যাবতীয় সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করার জন্য ৪৫ দিনের সময় দিয়ে একটি নোটিশ দেয় দুদক। ২০০১ সালের ১০ জুন তিনি দুদকের নোটিশটি গ্রহণ করেন।
নোটিশ গ্রহণ করার পরও তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২০০১ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত কোনো সম্পদের হিসাব দাখিল করেননি। হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় ২০০৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুদকের অফিসার লিয়াকত হোসেন বাদী হয়ে রাজধানীর উত্তরা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত শেষ করে ১৯৫৭ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ৪(২) অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিভিন্ন সময় ছয়জন এ মামলায় সাক্ষ্য দেন।
গত ২০ নভেম্বর সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।