চুরির প্রতিবাদ করায় গৃহবধূর চোখে জখম
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় চুরির প্রতিবাদ করায় নাজমা বেগম (৩৬) নামের এক গৃহবধূর চোখে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে গৃহবধূর বাবা আব্বাস আলী বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু গতকাল শনিবার পর্যন্ত পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
নাজমা বেগম শিবপুরের সৈয়দনগর দড়িপাড়া এলাকার মতিন মিয়ার স্ত্রী।
নাজমার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার এলাকার মাহফুজ মিয়া ও তাঁর ভাই মোরশেদ মিয়া, লুৎফর রহমান, সুজন মিয়া, শরীফ আহমেদ, ইমন ও হৃদয় নাজমা বেগমের একটি ছাগল চুরি করে নিয়ে যান। দুদিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনার জানাজানি হলে নাজমা বেগমের এক আত্মীয় অভিযুক্ত হৃদয় মিয়াকে চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিন রাত ৮টার দিকে অভিযুক্তরা ইটাখোলা এলাকায় নাজমা বেগমের আত্মীয় সজীব মিয়ার গতিরোধ করেন। তাঁরা সজীবকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। সজীবের চিৎকার শুনে নাজমা বেগম এগিয়ে যান। এ সময় মোরশেদ মিয়া ছুরি দিয়ে নাজমা বেগমের বাঁ চোখে আঘাত করেন। পরে বাড়ির লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
এরপর নাজমা বেগমকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য নেওয়া হয়।
আহত নাজমা বেগম বলেন, ‘আমার ছাগল চুরি করে খেয়ে ফেলেছে। জিজ্ঞাসা করায় আমার আত্মীয়কে মারধর শুরু করে। আমি এগিয়ে গেলে তারা আমার চোখ তুলে ফেলেছে।’
গৃহবধূর স্বামী মতিন মিয়া বলেন, এই সন্ত্রাসীরা এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করে। তারা এলাকায় অনেক প্রভাবশালী। তাই তাদের কোনো অপরাধের বিচার হয় না। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে উল্টো তাকেই হয়রানি হতে হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবুল বাশার খান বলেন, অত্যন্ত নৃশংস ও বর্বরতম একটি ঘটনা। এ ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ছাগল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মারামারি হয়েছে। ওই ঘটনায় নাজমা আক্তারের চোখে জখম হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।