‘বাংলাদেশকে আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অন্ধকারকে পাশ কাটিয়েই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশকে আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।’
আজ বুধবার বিকালে রাজধানীর সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রতি বছরই সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা এই সংবর্ধনার। যেখানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত হয়েছিলেন রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। বেলা চারটায় সেখানে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে রাখা বক্তব্যে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সাথে সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী কার্যক্রমসহ সেবামূলক বিভিন্ন কাজে অবদানের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীন দেশের যে সশস্ত্রবাহিনী হবে সেটা স্বাধীন দেশের উপযুক্ত হতে হবে। আমরা যুদ্ধ করব না কিন্তু কেউ আক্রমণ করলে আমরা ছেড়ে দেব না। যতক্ষণ আমাদের শ্বাস আছে আমরা প্রতিরোধ করব। সেভাবে আমরা প্রত্যেকটি বাহিনীর জন্য আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র তৈরী করা, তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সব পদক্ষেপই আমি নিয়েছি।’
যখনই সুযোগ পেয়েছেন দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়াই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি, সেই মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে আমাদের এগিয়ে চলতে হবে। আমাদের সামনে আরো অনেক যাত্রাপথ বাকি রয়েছে। এ কাজে সকলের সহযোগিতা পেয়েছি। সেজন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। কারণ আগামীতে তো নির্বাচন আছে। সেই নির্বাচনে জনগণ যদি ভোট দেয়, যদি চায় দেশের সেবা করি হয়তো আল্লাহর রহমতে আবার ফিরে আসব। আবার আপনাদের সাথে এখানে দেখা হবে। যদি না চায় আমার কোনো আফসোস থাকবে না। কারণ উন্নয়নের যে গতিধারা শুরু করেছি, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতা ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশকে আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।’
বাংলাদেশের এই এগিয়ে যাবার পথ সহজ ছিল না; আগামীতেও বাধাবিপত্তিকে পাশ কাটিয়ে দেশকে এগিয়ে নেবার দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
এরপর অনুষ্ঠানস্থল ঘুরে ঘুরে সশস্ত্র বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংবর্ধনায় আসা অতিথিদের সাথে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।