মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ৩০
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দীঘিরপাড় ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দীঘিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান আরিফ হালদার ও আওয়ামী লীগকর্মী বাদশা হালদারকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য কবির হালদার জানান, সকালের দিকে জমিতে কাজ করছিলেন চেয়ারম্যান আরিফ হালদারের লোকজন। এ সময় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আলেম খাঁ ও তাঁর লোকজন এসে বাধা দেন। এ সময় আরিফ হালদার তাঁর লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হালদার পক্ষের আহতরা হলেন বাদশা (৩০), ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক পলক হাসান (২০), বাবুল (৪৫), সুজন খান (৪২), লুৎফর রহমান (৩৩), রুবেল (২২), অন্তর হালদার, মুরাদ হালদার, আজিজুল হালদার, স্বপন হালদার প্রমুখ।
আলেম খাঁ পক্ষের স্বজন লাবণী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আরিফ হালদার এই জমি আত্মসাৎ করে ভোগ দখল করছিলেন। সকালের দিকে আলু রোপণের জন্য অস্ত্র নিয়ে আসে হালদার পক্ষ। এ সময় আবদুর রহমান খাঁ ও মিজান খাঁ জমিতে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাদের গুরুতর আহত করা হয়। তাদের দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে, দীঘিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, এক পক্ষ ধান কাটতে গেলে আরেক পক্ষ বাধা দেয়। হালদার ও খাঁ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আলেম খাঁ দলের নেতৃত্ব দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এই ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এ ছাড়া কাউকে আটক করা যায়নি।