রাস্তায় পড়ে থাকা ব্যাগে ছিল নবজাতকটি!
‘মনে করেছিলাম বিড়ালছানা, কিন্তু কাপড়ের ব্যাগটি খুলে দেখতে পেলাম একটি নবজাতক; দেখেই চমকে গেলাম,’ বলছিলেন রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার বাসিন্দা রোমানা আক্তার।
বাসার সামনের রাস্তায় ব্যাগের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে একটি নবজাতককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নিয়ে এসেছিলেন রোমানা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় নবজাতকটির মৃত্যু হয়েছে।
সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নবজাতকদের জন্য বিশেষ ওয়ার্ড ২১১-তে ওই নবজাতককে ভর্তি করা হয়। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, শুক্রবার সকালে ভর্তি করা নবজাতকটি দুপুরে মারা গেছে।
রোমানা আক্তার জানান, আজ শুক্রবার সকালে গেণ্ডারিয়ার ৩৫ নম্বর স্বামীবাগের বাসার সামনে হলুদ ও নীল রঙের একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। পরে বাসা থেকে বেরিয়ে রোমানা স্থানীয়দের সহযোগিতায় নবজাতকটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
রোমানা বলেন, ‘দেখলাম ব্যাগটি নড়ছে, প্রথমে মনে হচ্ছিল বিড়ালছানা। পরে ব্যাগটি খুলে দেখতে পাই ভেতরে একটি ছেলে নবজাতক। ব্যাগের মধ্যে মানবশিশু দেখে চমকে যাই।’
চিকিৎসকরা জানান, নবজাতকটির ওজন ৭৯০ গ্রাম। মায়ের গর্ভে বয়স ২২ থেকে ২৪ সপ্তাহ হতে পারে।
চিকিৎসকরা আরো জানান, নবজাতকটি কোনো ক্লিনিকে ভূমিষ্ঠ হয়ে থাকতে পারে, কারণ তার নাভিতে ক্লিপ দেখা যায়। মাথায় ক্ষতের চিহ্ন ছিল। তাকে হয়তো ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়।