কেরানীগঞ্জে মোস্তফা হত্যা মামলায় ৫ আসামির যাবজ্জীবন
ঢাকার কেরানীগঞ্জে মোস্তফা হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। সোমবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহা. বজলুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মনজুর আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন একই এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে শফিউদ্দিন, শাহাব উদ্দিন, সালাউদ্দিনের ছেলে সুমন, তমিজউদ্দিনের ছেলে জসীম উদ্দিন ও অসিম উদ্দিন।
আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া রায়ে দণ্ডিতদের দণ্ডবিধির ৩২৪ ধারায় এক বছর করে কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, মামলার অপর আসামি দণ্ডিত প্রথম দুজনের ভাই সালাউদ্দিন মামলার বিচারের সময়ে মৃত্যুবরণ করেন।
নথি থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানাধীন জয়নগরে নিজ বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার জন্য রওনা হন মোস্তফা ও তাঁর দুই শ্যালক হায়দার আলী ও রবি হোসেন। এ সময় আসামিরা তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা, লোহার রড, চাপাতি ও ইট দিয়ে হামলা করে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত মোস্তফাকে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিন রাত পৌনে ৯টায় মারা যান মোস্তফা। ওই ঘটনায় তাঁর দুই শ্যালক হায়দার আলী ও রবি হোসেন গুরুতর আহত হন।
এরপর ২০০৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী সাজেদা খাতুন।
২০০৬ সালের ১৯ অক্টোবর সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক আবুল হাশেম ছয়জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অপর আসামি এনায়েত হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।