গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের রুল
রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশনকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এই দলটিকে নিবন্ধন না দেওয়া সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের উপসচিব এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে গণসংহতি আন্দোলনের রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
এর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলন। পরে এ বছরের ৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি দিয়ে বলা হয়, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধি, ২০০৮ ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের দুটি প্রবিধানের বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই আবেদনে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এর ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয় গণসংহতি আন্দোলনকে।
পরবর্তীতে ১৩ এপ্রিল নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের দুটি প্রবিধানের বিষয় ঠিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ও ব্যাখ্যাসহ আবারও তা ২২ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয়। কিন্তু এরপরও নিবন্ধন না দিয়ে দলটির পক্ষে করা আবেদন খারিজ করে দেন নির্বাচন কমিশন।
পরে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন আবেদন খারিজ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বা পুনর্বিবেচনা করতে নির্বাচন কমিশনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন দলটির সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।