ব্যারিস্টার মইনুলকে ঢাকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়ে রুল
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে রংপুর কারাগার থেকে ঢাকায় এনে কেন স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আবদুর রহিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৮ নভেম্বর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ১১ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। রংপুর কারা কর্তৃপক্ষ ও রংপুর মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
আদালতের নির্দেশ অনুসারে প্রতিবেদন আজ দাখিল করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করা হয়েছে। গত ২ নভেম্বর বিশেষায়িত হাসপাতালে ব্যারিস্টার মইনুলের চিকিৎসা হাইকোর্টে রিট করা হয়। মইনুলের স্ত্রী সাজু হোসেন এ রিট দায়ের করেন।
গত ৩ নভেম্বর ব্যারিস্টার মইনুলকে রংপুর কারাগারে পাঠানো হয়। রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় গত ২২ অক্টোবর ঢাকার উত্তরা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রংপুরের বাসিন্দা মিলি মায়া বেগম ২২ অক্টোবর আদালতে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। ওই দিনই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশন চ্যানেলের একটি টক শোতে আলোচনার একপর্যায়ে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’বলে মন্তব্য করেন মইনুল হোসেন। তাঁর এই মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এখন পর্যন্ত ২২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি মানহানির মামলা এবং অপর ২টি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা।