ঢাকা-পঞ্চগড়ে আন্তনগর ট্রেন সার্ভিস শুরু
ঢাকা থেকে পঞ্চগড় রুটে সরাসরি আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.আবুল কালাম আজাদ আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন।
সবুজ পতাকা উড়িয়ে সকাল সাড়ে ৭টায় লাল সবুজের ১৩টি বগি নিয়ে আন্তঃনগর দ্রুতযান ট্রেনটি পঞ্চগড় স্টেশন ছেড়ে যায়। রাত ৯টায় ‘একতা এক্সপ্রেস’ নামের আরেকটি আন্তঃনগর ট্রেন পঞ্চগড় ছেড়ে যায়।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, পঞ্চগড় থেকে ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করার কথা থাকলেও ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী দ্রুতযান ও একতাকেই নিয়ে আসা হয়েছে পঞ্চগড়ে। ট্রেন দুটি ২৩টি রেলস্টেশনে থামবে। এখন থেকে আর ডেমু বা শাটল ট্রেন থাকবে না। সপ্তাহের প্রতিদিনই ট্রেন দুটি যাতায়াত করবে। পঞ্চগড় রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। আবার ঢাকা থেকে প্রতিদিন রাত ৮টায় পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। অপরদিকে, একতা এক্সপ্রেস পঞ্চগড় থেকে প্রতিদিন রাত ৯টা আর ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ১০টায়। একতায় প্রতিটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাথের ভাড়া ১ হাজার ৯৪২ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৫৩ টাকা, নন এসি বাথের ভাড়া ১ হাজার ১৪৫ টাকা ও শোভন চেয়ারের ভাড়া ৫৫০ টাকা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘প্রতিটি জেলা শহর থেকে রেলপথ উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেওয়া পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পঞ্চগড় থেকে ঢাকা রেলপথে আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু করা হলো। সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞপর্যায়ে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। আন্তঃনগর দুটি ট্রেন সার্ভিসে ৩৫টি করে আসন দেওয়া হলেও খুব শিগগিরই আসন পুনর্বিন্যাস করা হবে।’
এ ছাড়া ঢাকা-পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা রুটের মাধ্যমে আগামীতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে ভারত, নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগের সম্ভাবনার কথাও অতিরিক্ত সচিব জানান।
এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মো. রফিকুল আলম, পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম সুজন, জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. গোলাম আযম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পঞ্চগড় রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মো. মোশাররফ হোসেনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
ট্রেন দুটি চালু হওয়ায় যাত্রী, মালামাল পরিবহনের পাশাপাশি অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।