রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার আদাবরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় একটি পিকআপ ভ্যান দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে গেলে এর চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই কিশোর নিহত হয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের এক নেতার পক্ষে মিছিলে যোগ দিয়েছিল। 

নিহতরা  হলো- সুজন (১৭) ও আরিফ (১৪)। সুজন নুরুল আমিনের ছেলে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকালে নবোদয় হাউজিং এলাকায় আওয়ামী লীগকর্মীদের বহনকারী একটি পিকআপ ভ্যানকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। এ সময় পিকআপ ভ্যানটির চালক দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে গেলে তার নিচে চাপা পড়ে সুজন ও আরিফ। গুরুতর আহত হয় দুইজনই।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর জানান, সুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে সে মারা যায়। আরিফকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ছাড়া আদাবর এলাকায় আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতা সাদেক খানের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করাকে কেন্দ্র করে আদাবর এলাকায় দলটির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মনোনয়নপ্রত্যাশী সাদেক খানের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য যাওয়ার সময় নানকের সমর্থকরা সাদেকের সমর্থকদের মোটরগাড়ির শোভাযাত্রার ওপর হামলা চালায়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টা-সংঘর্ষ হয়।

আদাবর থানার ওসি কাওসার আহমেদ বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’