গ্রিন লাইন পরিবহনের চালকের জামিন নাকচ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসের চাপায় প্রাইভেটকারের চালক রাসেলের পা বিচ্ছিন্নের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাসটির চালক কবির হোসেনের জামিন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস এ আদেশ দেন।
চালক কবির হোসেনের আইনজীবী ফরিদা ইয়াসমিন জেসি এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে চালক কবির হোসেনের জামিন আবেদন করা হলে আদালত জামিন নাকচ করে দেন। গত ২৮ এপ্রিল থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
জেসি আরো জানান, তবে এ ঘটনায় আটক বাসটিকে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ নিজেদের জিম্মায় নিয়েছেন।
গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চালক কবির হোসেনকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাহিদ হাসান হাজির করে সাতদিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক বাসটির চালক কবিরের রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে তিনদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভিকটিম রাসেল সরকার রেন্ট-এ-কারের গাড়ি চালাতেন। গত ২৮ এপ্রিল বিকেল ৩টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ধোলাইপাড় ঢাল দিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন।
এ সময় গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাস তার গাড়িকে ধাক্কা দেয়। পরে গাড়ি থামিয়ে বাসের সামনে গিয়ে বাসচালককে নামতে বলেন রাসেল। তখন বাসের চালক ও রাসেলের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে গ্রিন লাইন পরিবহনের চালক বাস চালানো শুরু করেন।
তখন রাসেল সরতে গেলে ফ্লাইওভারের রেলিংয়ে আটকে পড়েন। তাঁর পায়ের ওপর দিয়েই বাস চলে যায়। এতে তাঁর বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর পথচারীরা রাসেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে বাসচালক কবির মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় গত ২৮ এপ্রিল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাসেল সরকারের বড় ভাই মো. আরিফ সরকার মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় চালক কবির মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি সে সময় থেকে কারাগারে আটক রয়েছেন।