‘সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচনে’র বিষয়ে আ. লীগ-জাপা ঐকমত্য
সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ‘মহাজোটে’র হয়ে নির্বাচন লড়বে জাতীয় পার্টি (জাপা)। তবে সব দল অংশ না নিলে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে এইচ এম এরশাদের দল।
আজ সোমবার গণভবনে আয়োজিত সংলাপশেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান জি এম কাদের সাংবাদিকদের এ কথা জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচন করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।’
সংলাপের সূচনা বক্তব্যে একটি অর্থবহ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের পাশে থেকে সহযোগিতা করায় জাতীয় পার্টিকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
সোমবার রাতে এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে সম্মিলিত জাতীয় জোটের ৩৩ জনের প্রতিনিধিদল যান গণভবনে। এই জোটে জাতীয় পার্টি ছাড়াও আছে বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্ট, খেলাফাতে মজলিশ, ইসলামী মহাজোট ও বিএনএ।
নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগেই শুরু হয় সংলাপ। প্রায় আড়াই ঘণ্টার সংলাপশেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের ও জি এম কাদের।
জি এম কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছি বর্তমান সংবিধানের আলোকে যে ধরনের বিধান আছে সে অনুযায়ী সামনে নির্বাচন হোক সে ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।’
জি এম কাদের বলেন, ‘সব দল অংশ নিলে আমরা মহাজোটের সঙ্গেই নির্বাচন করব। কোনো কারণে সব দল না এলে ৩০০ আসনেই নির্বাচন করব।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংলাপে সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচন করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। তবে আসন বণ্টান বিষয়ে কোনো কথা হয়নি, আরো ছোট পরিসরে এ বিষয়ে আলোচনা হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জোটবদ্ধভাবে মহাজোট, ১৪ দলসহ আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে লড়ব, একসঙ্গেই সরকার গঠন করব। এ ব্যাপারে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘যেভাবে মেরুকরণ হবে রাজনীতিতে তেমনি জোটেও ঠিক সেভাবে সমীকরণ হবে।’
সংলাপের বাইরে গিয়ে অহেতুক আন্দোলনের নামে চাপ সৃষ্টি করে সংবিধান থেকে সরকারকে সরিয়ে আনতে পারবে, এটা যারা বিশ্বাস করে; তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।