‘সংলাপের পর খুলনায় ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছে পুলিশ’
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের পর খুলনা বিভাগে পুলিশ গণগ্রেপ্তারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে এবং ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।’
মঞ্জু বলেন, পিতামাতাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে, মসজিদে যাওয়ার পথে, বাজারে যাওয়ার সময় যেখানে সেখানে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ সময় নেতাকর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আজ রোববার দুপুরে খুলনা মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের তালিকা পাঠিয়েছেন জানিয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘একদিকে তালিকা চেয়ে পাঠানো আর অন্যদিকে প্রতিহিংসার এই ভয়ানক রূপ কেন? দেশ কে চালাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নাকি অন্য কেউ, এই প্রশ্ন আমাদের।’
মঞ্জু আরো প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলার পর তালিকা পাঠানোর পরও আবার নতুন করে এই গায়েবি মামলা আর গ্রেপ্তার কেন?
‘২৬ তারিখ থেকে শুরু হওয়া এই অমানবিক, বিবেকহীন ও মানবাধিকার পরিপন্থী এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ থেকে বাঁচতে চাই।’
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি বলেন, ‘গত ২৬ অক্টোবর থেকে ৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে কয়েকদিনে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাদের সবাইকেও আমরা ছাড়াতে পারি নাই। স্থানীয় আদালত জামিন দেয় না, হাইকোর্ট পর্যন্ত যেতে হয়। যার জন্য বিনা অপরাধে একজনকে দেড় থেকে দুই মাস পর্যন্ত সাজানো-পাতানো গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার থাকতে হয় এবং নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করতে হয়।’
‘রফিকুল নামের দলের একজনের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। তাতে তাঁর পরিবারের লোকজন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। পুলিশের আচরণে তাঁর শিশুকন্যা তিন ঘণ্টা ধরে কেঁদেছে। সে পুলিশের আচরণে ভয় পেয়েছে।’
‘মোড়ে মোড়ে পুলিশ, মোড়ে মোড়ে ডিবির লোকজন, এটা কেন? আমাদের প্রশ্ন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনিসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
গত ১ নভেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপ করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সংলাপ শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, তাঁরা সংলাপে সন্তুষ্ট নন।