কুলিয়ারচরে শরীফুল আলমসহ বিএনপির ৮৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমকে প্রধান আসামি করে ৮৭ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগ এনে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় ১৭ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত হিসেবে আরো ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল শনিবার রাতে এলাকায় একটি গোপন সভা করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সেই সভায় উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীরা এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করেন। পুলিশ এমন সংবাদ পেয়ে আজ দুপুরে মামলাটি দায়ের করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা শরীফুল আলম জানান, শুধু শনিবার নয়, মামলা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে আমি এলাকায় যাই না। সুতরাং এ রকম কোনো কর্মসূচি বিএনপি পালনও করে নাই। শুধু বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করতে পুলিশ গায়েবি ঘটনা সৃষ্টি করে এই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছে। তিনি এ ঘটনায় ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানান।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নান্নু মোল্লা মামলার কথা স্বীকার করলেও বিস্তারিত আর কিছু জানাতে চাননি।
এর আগে একইভাবে খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারায় বৈঠক করার অভিযোগে ২৯ অক্টোবর সোমবার দুপুরে আরেকটি মামলা করেন ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোখলেছুর রহমান। ওই মামলায় মো. শরীফুল আলম, ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলামসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ২৫০ অজ্ঞাত নেতাকর্মীর নামে নাশকতা সন্দেহে আরেকটি মামলা করেছিল পুলিশ।
ভৈরব-কুলিয়ারচর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৬ সংসদীয় আসনটি। এখানে আওয়ামী লীগ থেকে জীবদ্দশায় নির্বাচন করতেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম জিল্লুর রহমান। বর্তমানে এ আসনের সাংসদ তাঁর ছেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিএনপিদলীয় প্রার্থী হিসেবে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মো. শরীফুল আলম।