আগামী ৬ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। সংবিধানের দোহাই দিয়ে সরকার নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করছে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

মান্না বলেন, ‘আমরা একটা অন্তর্বতীকালীন, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবার প্রক্রিয়া, এমনকি সংবিধানের অন্তর্গত হয়েও করতে পারি। আমরা দেখিয়ে দেব, যে সংবিধানের মধ্যেও এটা সম্ভব। কিন্তু একই সাথে আমরা প্রশ্ন করছি, আমাদের সংবিধান কি কোরআনের আয়াত? বদলানো যাবে না? বদলাননি আগে? ’

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মান্না বলেন, ‘এখন বদলানোর প্রয়োজন। কারণ আপনার ক্ষমতায় থাকা যাবে না। ১০ বছর ধরে ক্ষমতা চালিয়েছেন, দুই মাস ক্ষমতা জাহির করা বন্ধ করতে পারবেন? অঙ্গীকার করবেন, আমি ক্ষমতা জাহির করব না। তাহলে থাকবেন। ওই গদিতে বসে থাকবেন। কিন্তু গদিতে বসে থেকে জনগণের ওপর নির্যাতন করবেন, সেই কাজ হতে পারবে না।’

তফসিল ঘোষণার তারিখ পেছানোর বিষয়ে মান্না বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে তফসিল পেছানোর জন্য আমাদের চিঠি নির্বাচন কমিশনে দিয়েছি। ছোট পরিসরে সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে দিয়েছি। আমি আশা করি তাঁরা চিঠি পেয়েছেন। আমরা অপেক্ষা করছি। আগামী পরশু দিনের সমাবেশে আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুনে রাখুন, ৬ তারিখের জনসভায় আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করব। কিন্তু আমাদের আন্দোলন মানে সহিংসতা নয়, ভাঙচুর নয়।’

সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, ‘আমরা কিছুই করি নাই, তাতেই তাদের (সরকারের) যে অবস্থা, কিছু করলে কী হবে? সন্ত্রাস কাকে বলে, তা আপনারা করছেন। গুম-খুনের ইতিহাস আপনাদের সবচেয়ে বেশি। এসব পথ বাদ দিয়ে একটা সুষ্ঠু সুন্দর পথে আসুন।’

‌সরকারের উদ্দেশে মাহমুদুর রহমান মান্না ব‌লেন, ‘আমরা যদি আলোচনায় সমস্যার সমাধান করতে পারি, তাহলে আন্দোলনে যাওয়া লাগবে না। কিন্তু আলোচনা হবে না বলে ছলচাতুরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকবেন, তা হবে না। যদি মনে করেন গতবারের মতো নির্বাচন করে পার পেয়ে যাবেন সেটা ভুলে যান। এবার কোনো পথ পাবেন না। এবার সবক্ষেত্রে লড়াইয়ের মোকাবিলা করে যেতে হবে আপনাদের।’