আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আমীর খসরুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘এ মামলায় জামিন হওয়ায় আপাতত মুক্তিতে বাধা নেই।’
গত ২১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
গত ৪ আগস্ট আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত ও ষড়যন্ত্রের চেষ্টার অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/৩ ধারায় মামলা করা হয়।
গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হয়। এ ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মধ্যে আমীর খসরুর মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে কুমিল্লায় অবস্থানরত নওমী নামে ছাত্রদলের এক কর্মীর কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। অডিও ক্লিপে শোনা যায়, আমীর খসরু ওই কর্মীকে বলছেন ঢাকায় এসে লোকজন নিয়ে নেমে পড়তে। ওই দিনই ঢাকার ধারমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা হয়। মামলায় জাকারিয়া দস্তগীর দাবি করেন,আমীর খসরুর উসকানির জেরে নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তাঁর কথার জেরেই ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা হয়।