ইভিএম ব্যবহারের বিধিমালা অনুমোদন দিয়েছে ইসি
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএম ব্যবহারের বিধিমালা অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ বৈঠকের পর পরই শুরু হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল সংক্রান্ত আরেকটি সভা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই সভা এখনো চলছে।
ইসির উপসচিব আবদুল হালিম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ইভিএম বিধিমালা পাওয়ায় সংসদ নির্বাচনে এর ব্যবহারের সার্বিক বিষয় চূড়ান্ত হলো। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে ইভিএম চালুর আট বছর পর প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে এ প্রযুক্তি ব্যবহার হবে।
উপসচিব আরো বলেন, ২০১০ সালের জুন মাসে স্বল্প পরিসরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম চালু হয়। ২০১৫ সালের এসে ওই ইভিএম বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ডিজিটাইজড সুবিধা সংবলিত নতুন ইভিএম তৈরি করে ইসি। ২০১৬ সালে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তা চালু হয়। এর দুই বছরের মাথায় সংসদে নতুন প্রযুক্তিটি চালু হচ্ছে।
আবদুল হালিম খান বলেন, আইনি ভিত্তি পাওয়ার পর স্বল্প পরিসরে এ প্রযুক্তি ব্যবহার হবে। কয়টি কেন্দ্রে তা ব্যবহার করা হবে তা কমিশনই চূড়ান্ত করবে।
ব্যবহার বিধি নিয়ে উপসচিব বলেন, মেশিনটিতে কুইক রেসপন্স কোডসহ আরো কিছু তথ্য সংবলিত টোকেন মুদ্রণ করে ভোটারকে দেওয়া হয়। ভোটার টোকেন নিয়ে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে গেলে ভোটিং মেশিনের কিউআর কোড স্ক্যানারের মাধ্যমে শনাক্ত করে গোপন কক্ষে থাকা ব্যালট ইউনিটে ব্যালট ইস্যু করা হবে। ভোটার পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীক দেখে বাম দিকে বোতামে চাপ দিয়ে সিলেক্ট করবেন এবং ওই ব্যালট ইউনিটের সবুজ রঙের কনফার্ম বোতাম চেপে তাঁর ভোট শেষ করবেন।
এ ছাড়া কখনো ভুলবশত কোনো প্রতীক নির্বাচন করা হলে, ব্যালট ইউনিটের লাল রঙের ক্যান্সেল বোতাম চেপে পরবর্তীতে যেকোনো প্রার্থীকে আবার নির্বাচন করা যাবে বলেও জানান আবদুল হালিম।