সিসি ক্যামেরা খুলে দুর্ধর্ষ চুরি, ৫০০ ভরি সোনা লুট
নওগাঁয় রুমি জুয়েলার্স নামের একটি স্বর্ণের দোকানে অভিনব কায়দায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে দোকানে ঢুকে দীর্ঘ সময় ধরে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজ শনিবার সকালে ওই স্বর্ণের দোকান খুললে চুরির ঘটনা জানাজানি হয়।
একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল আনুমানিক ৫০০ ভরি স্বর্ণসহ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে গেছে বলে ধারণা করছে মালিক পক্ষ।
রুমি জুয়েলার্সের মালিক তৌফিকুর রহমান বাবু জানান, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার সিদ্ধান্ত মতে বৃহস্পতিবার ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার সারাদিন দোকান বন্ধ ছিল। এ সময়ের মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল আঁখি ইলেকট্রনিক্সের তালা ভেঙে প্রথমে সেখানে ঢোকে। পরে দেয়ালে সিঁদ কেটে পাশের রুমি জুয়েলার্সে প্রবেশ করে বলে জানান তিনি।
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাই জানান, রুমি জুয়েলার্সের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে চোরেরা রুমি জুয়েলার্সে প্রবেশ করে। শুক্রবার হওয়ায় পুরো মার্কেট বন্ধ থাকার কারণে তারা সুবিধা পায়। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতরের দুটি সিন্দুক ভেঙে সোনা চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। চোরেরা দোকানের ভেতরে প্রবেশের আগেই বাইরের সিসি ক্যামেরাগুলো উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেয়। ভেতরে প্রবেশ করেই দোকানের ভেতরের সিসি ক্যামেরা খুলে নেয়।
নওগাঁয় আঁখি ইলেকট্রনিক্সের দেয়ালে সিঁদ কেটে চোরেরা রুমি জুয়েলার্সে প্রবেশ করে। ছবি : এনটিভি
আজ শনিবার সকালে দোকান খুলে এই চুরির কথা জানাজানি হয়। এই দুর্ধর্ষ চুরির সংবাদ পেয়ে নওগাঁ জেলার পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল আকতার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্কতা (ওসি) মো. আবদুল হাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আজ বিকেলে বিশেষজ্ঞ একটি দল রাজশাহী থেকে নওগাঁয় এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তারা হাতের ছাপ ও বিভিন্ন আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন জানান, এটি একটি স্পর্শকাতর মামলা। তদন্ত শেষ না করে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। এ ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদ্ধার ও অপরাধীদের আটক করতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।
এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। রুমি জুয়েলার্সের মালিক তৌফিকুর রহমান বাবু বাদী হয়ে এ মামলা করেন।