ময়মনসিংহে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ ব্যক্তি নিহত
ময়মনসিংহে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত দলের সদস্য।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে সদর ও মুক্তাগাছা উপজেলায় এ দুটি ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে বলে ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ দাবি করেছেন।
নিহতরা হলেন- ফুলবাড়ীয়া থানার আমদালিয়া গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ হেল কাফি (৩১) ও সদর উপজেলার আলমাগীর (২৭)। পুলিশের ভাষ্য, তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
কথিত বন্দুকযুদ্ধ সম্পর্কে ওসির ভাষ্য, শুক্রবার মধ্যরাতে মুক্তাগাছার রসুলপুর ঝলই ব্রিজ এলাকায় ডাকাতরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সূত্রে পুলিশ এ খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা গুলি চালায়। ডাকাতের গুলিতে আহত হন তিন পুলিশ সদস্য। তখন পুলিশও আত্মরক্ষার্থে শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে।
‘পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আব্দুল্লার হেল কাফিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। কাফির কাছ থেকে কাঠের বাটযুক্ত এলজি বন্দুক ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।’
ওসি আরো দাবি করেন, অপর ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনাটি ঘটেছে সদর থানায় রাত দেড়টার দিকে। ওই ঘটনা সম্পর্কে তাঁর ভাষ্য, মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে কোতোয়ালি থানার সাহেব কাচারী দরিয়াপুর মাঠ সড়কের সামনে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে এবং ঢিল ছুড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে শটগানের ফাঁকা গুলি করে।
‘একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে মাদক ব্যবসায়ী আলমাগীরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ওসি আরো দাবি করেন, এ দুটি ঘটনায় ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজিম উদ্দিন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. মজিদ, কনস্টেবল ইব্রাহীম, সাইদুল ইসলাম ও আরমান উদ্দিন আহত হন। এ সময় সেখান থেকে দুই কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।