‘ঐক্য আন্দোলনের সামনে কোনো শক্তি দাঁড়াতে পারবে না’
আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বর্তমান সংবিধানের আলোকেই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করে দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন।
ঐক্য আন্দোলনের সামনে কোনো শক্তি দাঁড়াতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন ড. কামাল। আজ শুক্রবার জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। রাজধানীর আরামবাগে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন কথা বলেন গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর নেতৃত্বাধীন জোটের সংলাপ এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংবিধানে আলোকেই বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধান সম্ভব।’
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে বসলে, মন খুলে যদি আমরা আলোচনা করি, যে লক্ষ্য গুলো সংবিধানে আছে তা সেটাকে আনতে হবে; যে এ লক্ষ্যগুলো আমরা অর্জন করব। এখানে ব্যক্তিস্বার্থ, গোষ্ঠীস্বার্থ, পরিবারের স্বার্থ না জাতির স্বার্থ, জনগণের স্বার্থ; এর ভিত্তিতে সব কিছু করা যায়।
ড. কামাল আরো বলেন, ‘এ প্রক্রিয়ার মধ্যে লক্ষ্য করছি যেসব ব্যাপারকে লক্ষ্য করে আমরা দাবি করছি আমরা তো মনে করি এর বিপক্ষে কিছু দাঁড়িয়ে বলা কঠিন।’
অনুষ্ঠানে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ড. কামাল বলেন, ‘বর্তমান সংবিধানেই উল্লেখ আছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব।’
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সংলাপের প্রস্তাব দিয়ে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। এ কথা আমরা বলেছি আমরা সবাই স্বাধীনতার পক্ষের লোক, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। অর্থাৎ আমরা উনার কাছে যেটা চাই যে আপনি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করেন। এখানে কোনো দুই নম্বরীর সুযোগ যেন কেউ না পায়। অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করেন। এটা সবারই মৌলিক অধিকার। আমরা অবশ্যই সেটা ভোগ করতে চাই।’
জনগনই ক্ষমতার মালিক উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, ‘জনগণকে কোনভাবেই ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে দেওয়া যাবে না।’