রোদ উপেক্ষা করে অনশনে বিএনপির নেতাকর্মীরা
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা বাড়ানো ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে চলছে দলটির গণঅনশন কর্মসূচি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপির এ গণঅনশন কর্মসূচি শুরু হয়। অনশনে সভাপতিত্ব করছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া বক্তব্য দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতারা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রখর রোদ উপেক্ষা করে এই গণঅনশনে যোগ দিয়েছেন। মহানগর নাট্যমঞ্চের সামনে খোলা জায়গায় চলছে কর্মসূচি। যেখানে রোদ থেকে বাঁচার জন্য কোনো শামিয়ানা বা পর্দার ব্যবস্থা নেই। বসার জন্য নেই কোনো কিছু। তবুও বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবস্থান নিয়েছেন।
আজ সকাল ১০টায় অনশন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ৯টার আগে থেকে কর্মসূচির স্থানে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হবে। তবে মূল আনুষ্ঠানিকতা একটু দেরি করেই শুরু হয়।
এদিকে গণঅনশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মহানগর নাট্যমঞ্চের আশপাশে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তুলেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি রয়েছে সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
অনশনে উপস্থিত আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট বিভাগ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতের দেওয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বাড়িয়ে ১০ বছর করে।
এর আগের দিন সোমবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
এসবের মধ্যেই গতকাল বুধবার আবার বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একটি রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধন করা কেন অবৈধ হবে না, সে বিষয়ে রুল জারি করা হয়েছে।