সমাহিত করার ৩ মাস পর পিয়নের মৃতদেহ উত্তোলন
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গায় মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য সমাহিত করার তিন মাস পর গৌতম কুমার সূত্রধর নামের এক ব্যক্তির মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আজ বুধবার দুপুরে সলঙ্গা মহাশ্মশানঘাটের কবর থেকে গৌতম কুমারের মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাসুদেবকোল গ্রামের মৃগেন সূত্রধরের ছেলে গৌতম কুমার সূত্রধর সলঙ্গা ডিগ্রি কলেজের পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চলতি বছরের ১৯ জুলাই তিনি নিখোঁজ হন। পরে ২৬ জুলাই নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নয়াবাজার এলাকায় গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ গৌতমের লাশ উদ্ধার করে।
সে সময় ওই ঘটনাকে আত্মহত্যা উল্লেখ করে পুলিশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। পরে গৌতমের স্ত্রী আত্মহত্যার ব্যাপারটি নাকচ করে হত্যা মামলা করেন এবং লাশ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই বুধবার পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য গৌতমের মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল হুদা জানান, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে পরিবারের সন্দেহ থাকায় তাঁদের আপত্তির মুখে সে সময় গৌতমের লাশ দাহ করা হয়নি। পরিবার লাশটি মাটিচাপা দেওয়ার অনুরোধ জানালে সেটিই রক্ষা করা হয়। অবশেষে আজ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি উত্তোলন করা হলো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ, সলঙ্গা থানার ওসি জেড জেড তাজুল হুদা, সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সন্তোষ কুমার কানু, সলঙ্গা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ফণিভূষণ পোদ্দার প্রমুখ। এ ছাড়া শত শত স্থানীয় মানুষ এ সময় ভিড় করে।