চট্টগ্রামে ঘরে মা-মেয়ের লাশ, মেয়ের জামাই নিখোঁজ
চট্টগ্রামের ডবলমুরিং এলাকার একটি বাসা থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার পাঠানটুলি এলাকার একটি বাড়ি থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, মা হোসনে আরা বেগম এবং মেয়ে পারভিন আকতার। উভয়কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতদের স্বজনরা জানায়, মেয়ে পারভিন আকতারের বাড়িতে কুমিল্লা থেকে বেড়াতে এসেছিলেন মা হোসনে আরা বেগম। গতকাল রাতে ঘর ভাড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্বামী আবদুল মতিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় পারভিন আকতারের। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পারভিন আকতারের ভাই সোহেল।
জানা যায়, চট্টগ্রামেই দোকান রয়েছে সোহেলের। রাতে না খেয়েই সোহেল দোকানে চলে যায় ঘুমানোর জন্য। পরে সকালে বোনের বাসায় এসে দুই ঘরে মা ও বোনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তিনি পুলিশ ও আরেক বোন রেশমি আকতারকে ফোন দেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কি না এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। এদিকে, ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন পারভিনের স্বামী মতিন।
নিহত পারভিনের বোন রেশমী জানান, গতকাল রাতেও তাঁর মা সুস্থ ছিলেন। তিনি বলেন, ‘তখনো আমার মা সুস্থ আছিল। আমি বাসায় গেছিগা। আমার ভাইয়ের নাইট ডিউটি আছিল। রাত্রে ভাত খায় নাই। গেছে গা। তয় দোকানে থাকতে যায় গা। ঘরে থাকে না। সকালে দোকান থাইকা আইছে। পরে আইসা দেখে দরজা খোলা। ভাই আমারে যাইয়া বলে যে বইন, তুই তাড়াতাড়ি আয়। কয় আম্মা তো নাই। আমি কই কি কছ, আম্মা নাই? কয় আম্মা তো মইরা গেছে গা। ’
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার ফারুক উল হক বলেন, ‘পুলিশ তাদের মৃত অবস্থায় পেয়েছে। বিষয়টা হলো যে, এরা প্রায় আড়াই তিন মাস ধরে ভাড়া থাকছে বলে জানা যায়। তাঁরা মা-মেয়ে। তাঁরা রাতে খাবার খেয়েছে, এই পর্যন্তই আশপাশের লোকজন সর্বশেষ দেখেছে।’
ফারুক উল হক জানান, তাঁর ছেলে এসে দুজনকে মৃত অবস্থায় দেখে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।