১২ দিনে যমুনাগর্ভে দুটি গ্রামের আড়াই শতাধিক ঘরবাড়ি
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা তীরবর্তী গালা ইউনিয়নে গত ১২ দিনে চিথুলিয়া ও তারটিয়া—এ দুটি গ্রামের আড়াই শতাধিক ঘরবাড়ি যমুনাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ভাঙনকবলিত অনেক পরিবার রাস্তার পাশে ও বিভিন্ন জায়গায় প্রাথমিকভাবে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ভাঙনের তীব্রতা এতই বেশি যে প্রতিদিনই গ্রাম দুটির নতুন নতুন ঘরবাড়ি পানিতে নেমে যাচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, যমুনার পানির স্রোতের তোড়ে উপজেলার গালা ইউনিয়নের চিথুলিয়া ও তারটিয়া দুটি গ্রামের অনেকাংশ নদীগর্ভে চলে গেছে।
প্রতিবছরই অত্র এলাকা ভাঙনের মুখে পড়ে থাকে। কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকায় এ এলাকার স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা ও কবরস্থান হুমকির মুখে রয়েছে।
ভাঙনকবলিত এই এলাকার আনোয়ার হোসেন, জহুরুল সেখ ও রমজান বলেন, ‘গত কয়েক দিনের ভাঙনে আমাদের দুই গ্রামের প্রায় আড়াইশ ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে আর কয়েকদিনের মধ্যেই এ দুটি গ্রাম বিলীন হয়ে যাবে।’
তাঁরা ভাঙন প্রতিরোধ করে গ্রামগুলোকে রক্ষায় এবং ভাঙনকবলিত মানুষগুলোর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
গালা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাতেন জানান, গত কয়েক দিনের ভাঙনের ফলে গালা ইউনিয়নে চিথুলিয়া ও তারটিয়া গ্রামের প্রায় অর্ধেক নদীগর্ভে চলে গেছে। আড়াই শতাধিক পরিবারকে ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হয়েছে। কে কোথায় আছে, কেউ তা জানে না।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হুসেইন খাঁন বলেন, ‘গালা ইউনিয়নের ভাঙন সম্পর্কে অবগত হয়েছি এবং চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ভাঙনকবলিত মানুষ, যাদের ঘরবাড়ি যমুনায় ভেঙে গেছে তাদের সঠিকভাবে তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছি।’