জনগণের ওপর আস্থা আছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার জনগণের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা, বিশ্বাস আছে। উন্নয়নের ছোঁয়া আজ সকলের জীবনে যে পরিবর্তনের ছোঁয়া এনেছে, তাদের সুন্দর জীবন দিয়েছে, নিশ্চয়ই তারা সেটা ধরে রেখে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে আবার সরকার গঠন করার সুযোগ দেবে।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও সংসদীয় দলের যৌথ সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দল থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই সভায়।
আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা নির্বাচন কমিশনের। তার আগে আগেই দলের সিনিয়র নেতা ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে আওয়ামী লীগের এই যৌথ সভা। যেখানে আলোচনা হয় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের নানান দিক ও প্রেক্ষাপট নিয়ে। যার সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভার শুরুতেই রাখা বক্তব্যে সম্প্রতি গঠিত জোট ঐক্যফ্রন্টের উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘ঐক্যজোটের নেতারা তাত্ত্বিক কথা বলে দুর্নীতিবাজদের সাথে ঐক্য করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একদিকে দাবি করবে সংবিধান রচয়িতা, অপরদিকে আবার সে সংবিধানকে লঙ্ঘন করার জন্য নির্বাচনের অন্য ফর্মুলা দেবে, অনির্বাচিত একটা সরকার গঠন করতে বলবে, সরকারকে পদত্যাগ করতে বলবে এ আবদারটা কেন? কার স্বার্থে? এদিকে নির্বাচন চান ওদিকে আবার বলেন স্বচ্ছ হবে না। ইভিএম আজ ইন্টারন্যাশনালি ব্যবহার হয়। এখানে কেউ কারো ভোট চুরি করতে পারবে না কারণ প্রত্যেকেরই বায়োমেট্রিক দেওয়া থাকবে। তার মানে নির্বাচন না কি চায় তারা সেটা হল বড় কথা।’
তারা দেশের উন্নয়নও চোখে দেখেনা আবার মিথ্যে অভিযোগ করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা প্রথমে বলল আমরা নাকি তাদের মিটিং করতে দিচ্ছি না। সিলেটে তারা মিটিং করে আসছে। আগেই তারা বলে দেয় আমাদের দিচ্ছে না। আমার যেটা মনে হয় যে তারা চায় আমরা বাধা দেই। আমি কিন্তু বলে দিয়েছি গণতন্ত্র আছে দেশে তারা যত মিটিং দরকার তারা করতে থাকুক। যত বক্তৃতা দেবার দেবে। কেউ বাধা না দেওয়ার জন্য। আমার নির্দেশ কিন্তু রয়ে গেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা নাকি কোনো উন্নয়নই দেখে না। ফ্লাইওভারে কি তারা চড়ে না? রাস্তায় চলে না? চোখ থাকতে কেউ অন্ধ থাকলে তাদের কিছু বলার নাই। অর্থাৎ দেশটা যে সুন্দরভাবে চলছে, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ আমরা দমন করেছি এগুলো তাদের ভালো লাগে না। তারা চায় একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ। একটা অস্বাভাবিক কিছু হলে তাদের শক্তিটা বাড়ে।’
চাইলে যে দেশের উন্নয়নে কাজ করা যায় আওয়ামী লীগ তা প্রমাণ করেছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদি আওয়ামী লীগ আবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলেই উন্নয়নের গতিধারাটা থাকবে। মানুষ আরো সুন্দর জীবন পাবে। প্রত্যেকটা গ্রাম শহরে রূপান্তর হবে।’