খালেদা জিয়ার জামিন ও আপিলের আবেদন গ্রহণ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে করা নাশকতার মামলায় তাঁর জামিন ও আপিলের শুনানির আবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত।
আজ বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আবেদন গ্রহণ করেন।
এর আগে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবীরা। কিন্তু গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার বিচারিক আদালত জামিন না মঞ্জুর করে আদেশ দেন। পরে খালেদা জিয়ার জামিন ও এই মামলার বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ এই সিদ্ধান্তের কথা জানান আদালত।
এ ছাড়া আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবী ব্যারিস্টার আহসানুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কুমিল্লার বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন না মঞ্জুর করা হয়। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।’
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ২০ দলীয় জোটের অবরোধের সময় চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে আট যাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যায়। আহত হন আরো ২০ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৭৭ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি নাশকতার মামলা দায়ের করেন।
মামলায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় ছয় নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়।
৭৭ জন আসামির মধ্যে এরইমধ্যে তিনজন মারা গেছেন। পাঁচজনের অভিযোগপত্র বাতিল করা হয়েছে। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্য ৬৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফিরোজ হোসেন।