প্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা!
শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু মেয়েকে তরল কীটনাশক খাইয়ে হত্যার পর একই পদার্থ পান করে এক মা আত্মহত্যা করেছেন। আজ সোমবার সকালে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মারা গেছেন গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের দিনমজুর উত্তম মণ্ডলের স্ত্রী শান্তি রানি মণ্ডল (৩৬) ও তাঁদের মেয়ে তমালিকা মণ্ডল (৮)। ঘটনার সময় উত্তম বাড়িতে ছিলেন না। ভোরে তিনি মাছের ঘেরে কাজ করতে যান।
উত্তম মণ্ডলের বড় মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তন্দ্রা মণ্ডল জানায়, তার বোন তমালিকা মণ্ডল জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। বিভিন্ন সময়ে সে বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর ও নষ্ট করত। এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি চলছিল।
তন্দ্রা জানায়, তমালিকার আচরণ সহ্য করতে না পেরে তার মা আজ সকালে খাবারের সঙ্গে তমালিকাকে তরল কীটনাশক খাওয়ান। খাবারের পর তমালিকা যখন বিষক্রিয়ায় ছটফট করছিল তখন তার মা শান্তি রানিও একই বিষ খেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন। কিছুক্ষণের মধ্যে মা ও মেয়ের দেহ নিথর হয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা স্থানীয় চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে আসে। কিন্তু ততক্ষণে তারা দুজনই মারা যায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, প্রতিবন্ধী মেয়েকে কেন্দ্র করে এবং সাংসারিক বিষয় নিয়ে দরিদ্র এই পরিবারের স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। এ কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
জানতে চাইলে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, পুলিশ দুটি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনার নেপথ্য কারণ কী, তা এখনই জানাতে পারেননি ওসি।