সাংবাদিকদের অধিকার হরণ করে কেউ টিকবে না : তথ্যমন্ত্রী
বর্তমানে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম যে স্তরে রয়েছে, সেখান থেকে সংকোচনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এ সময় সাংবাদিকদের অধিকার হরণ করে কেউ টিকে থাকবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আজ রোববার প্রেস ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (পিআইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র আয়োজিত তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনে হাসানুল হক ইনু এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিকশিত গণতন্ত্র, বিকশিত গণমাধ্যমের যে অবস্থা হয়েছে এখন, যে মাত্রায় আমরা আছি। বিকশিত গণমাধ্যমের যে স্তরে আমরা আছি, তার সংকোচনের কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং নির্ভয়ে থাকুন। আপনাদের অধিকারে কেউ হস্তক্ষেপ করে টিকে থাকবে না। সুতরাং এই ব্যাপারে আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সংবিধান প্রদত্ত এবং দেশের সব আইন প্রদত্ত যে অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রত্যেকটা অধিকার অক্ষরে অক্ষরে পালন করে, নির্ভয়ে আপনারা গণমাধ্যমের সেবা করুন। গণতন্ত্রের সেবা করুন।’
এ সময় পেশাগত দক্ষতা বাড়িয়ে সততা ও নৈতিকতা বজায় রেখে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপন করতে নারী সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনুর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যখন গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমকে স্মরণকালে সবচেয়ে বিকশিত করছে, উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাই তখন গণতন্ত্র, গণমাধ্যম এবং সমাজের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি বলেন, উগ্রবাদের হুমকি ডিজিটাল সমাজেও ছড়িয়ে পড়েছে। এর বিরুদ্ধে লড়তে সরকার ও সংবাদমাধ্যমকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
‘যেকোনো আইন পরীক্ষা করা যায়, সংশোধন করা যায়’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আশ্বস্ত করতে পারি, গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্য এ আইন নয়।
সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু এ সময় নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের ১৭ বছরের কর্মযজ্ঞ তুলে ধরেন। বিশেষ অতিথি তৌফিক ইমরোজ খালিদী নারী সাংবাদিকের সংখ্যা আগামী সম্মেলনের আগে ১০ গুণ বৃদ্ধির জন্য উৎসাহ দেন।
২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সারা দেশ থেকে প্রতিনিধিরা অংশ নেন। কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সেতারা মূসা ১৯৫০-এর দশকে তাঁর সাংবাদিকতার দিনগুলোর কথা স্মরণ করেন।
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা এবং কোষাধ্যক্ষ আখতার জাহান মালিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।