ভোক্তাপর্যায়ে গ্যাসের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বিইআরসির
আপাতত ভোক্তাপর্যায়ে গ্যাসের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। তবে, জাতীয় গ্রিডের পাইপ লাইনে এক হাজার এমএমসিএফ এলএনজি সরবরাহ শুরু হলে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে কমিশন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম।
মনোয়ার ইসলাম বলেন, ‘গ্যাসের উৎপাদন এবং এলএনজি আমদানি সঞ্চালন ও বিতরণ বৃদ্ধি সত্ত্বেও সার্বিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ভোক্তাপর্যায়ে বিদ্যমান মূল্য হার পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারজনিত কারণে বিদ্যমান গ্যাসের মূল্যহার বণ্টন বিবরণী সংশোধন করে কমিশন আদেশ জারি করেছে। কমিশনের এ আদেশ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে কার্যকর হবে।’
বিইআরসির চেয়ারম্যান জানান, গ্যাসের দাম না বাড়ালেও নিরাপত্তা জামানত, বিল পরিশোধ সংক্রান্ত কিছু নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। দাম না বাড়ানোয় এ বছর সরকারকে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে।
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘গ্যাসের জাতীয় গ্রিডের পাইপ লাইনে এক হাজার এমএমসিএফ এলএনজি সরবরাহ শুরু হলে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে। এ বছরের মার্চে সঞ্চালন মূল্য বাড়ানোর জন্য গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি এবং ভোক্তাপর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য তিতাসসহ ছয়টি কোম্পানি কমিশনে আবেদন করেছিল।’