সাব-রেজিস্ট্রারের অবৈধ সম্পদ আড়াই কোটি, দুদকের মামলা
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার ও মোহরারকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে আটকের পর এবার সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পাবনা সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো. ইব্রাহীম আলীর বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩৮ লাখ ১৪ হাজার ৯২৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।
আজ সোমবার সকালে দুদক পাবনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক গোলাম মাওলা বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দারুস সালাম থানায় এ মামলা করেন।
দুদকের মামলা সূত্রে জানা যায়, পাবনা সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত মো. ইব্রাহীম আলী (৫৮) ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ইরাদ আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার মিরপুরের টোলারবাগে থাকেন।
দুদক জানায়, সাব-রেজিস্ট্রার ইব্রাহীম আলীর মোট তিন কোটি ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৫০২ টাকার সম্পদের মধ্যে দুই কোটি ৩৮ লাখ ১৪ হাজার ৯২৫ টাকার সম্পদ অবৈধ বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক। যার পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মো. ইব্রাহিম আলীর বিরুদ্ধে ঢাকার দারুস সালাম থানায় মামলা করা হয়।
ওই অনুসন্ধান তদারককারী কর্মকর্তা দুদক পাবনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর এই মামলা করা হয়। আসামি সরকারি কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম আলীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে গত ১০ জুলাই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার ইশরাত জাহান (২৮) ও মোহরার আশরাফুল আলমকে (৪০) হাতেনাতে আটক করে দুদক।
সে সময় সদর সাব-রেজিস্ট্রার মো. ইব্রাহিম হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে দুদকের মামলার বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন। এনটিভি অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘আটঘরিয়ার সাব-রেজিস্ট্রার ট্র্যাপের (ফাঁদ) শিকার।’