ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত
ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাতে এসব ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, নিহতদের মধ্যে একজন মাদক ব্যবসায়ী ও একজন চরমপন্থী।
ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক আইয়ুব আলী জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ শহরে গতকাল দিবাগত রাত সোয়া ১টায় মাদকবিরোধী অভিযানকালে ‘গোলাগুলিতে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। ডিবির দাবি, ওই ব্যক্তি একজন মাদক ব্যবসায়ী।
নিহতের নাম পায়েল (২৯)। তিনি শহরের পুরোহিতপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, তাঁর বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় মাদকসহ ১১টি মামলা রয়েছে।
জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ দাবি করেন, রাতে তাঁদের দুটি দল মাদকবিরোধী অভিযানে বের হয়। শহরের আকুয়া দরগাপাড়া খালপাড় এলাকায় ছয়/সাতজন মাদক ব্যবসায়ী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে মো. জাকির হোসেন নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও শটগানের নয়টি ফাঁকা গুলি করে।
একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পায়েলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেন ওসি। তিনি আরো বলেন, ‘পায়েল কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছে, তা পুলিশ জানে না। তাঁর প্যান্টের পকেট থেকে একশ পিস ইয়াবা ও একশ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হবে।’
এদিকে টাঙ্গাইল থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক মহব্বত হোসেন জানিয়েছেন, গতকাল রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের চৌধুরী মধ্যপাড়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শরীফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
নিহত শরীফ হোসেন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (লাল পতাকা) টাঙ্গাইল জেলার সভাপতি ছিলেন।
র্যাব-১২-এর ৩ নম্বর কোম্পানি কমান্ডার মেজর রবিউল ইসলাম দাবি করেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে চৌধুরী মধ্যপাড়ায় অভিযান চালালে চরমপন্থী দলের সদস্যরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে র্যাবের সদস্যরাও গুলি চালান।
বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে শরীফ গুলিবিদ্ধ হন। অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেন মেজর রবিউল ইসলাম।