ভৈরবে ঘরে ঢুকে অজ্ঞান করে লুট
রান্নাঘরের গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা। তারপর চেতনানাশক দিয়ে পরিবারের সবাইকে অজ্ঞান করে তারা। চেতনা ফেরার পর পরিবারটির লোকজন দেখেন ১২ ভরি স্বর্ণালংকারসহ লুট হয়েছে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসেট।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার ইতালি প্রবাসী আবদুল লতিফ মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের গৃহকর্তা আবদুল লতিফ (৫০), তাঁর স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪০) ও তাঁর মেয়ে আকলিমা বেগমকে (২৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বাবু কৌশিক জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কী জাতীয় চেতনানাশক ব্যবহার করা হয়েছে বলে যাচ্ছে না। আব্দুল লতিফের স্ত্রী হাসিনা বেগমের চেতনা এরইমধ্যে ফিরে এসেছে বলে জানান তিনি। কৌশিক জানান, আবদুল লতিফ ও তাঁর মেয়ে আকলিমার চেতনা ফিরে না আসলেও তাঁরা শঙ্কামুক্ত।
হাসিনা বেগম জানান, প্রতিনিদের মতো তাঁরা রাত ১১টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন। মাঝরাতে তাঁর গলা থেকে কেউ চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেখতে পেলেও তিনি কোনো শব্দ করতে পারছিলেন না। শক্তি পাচ্ছিলেন না ওঠে দাঁড়াবার। পরে জ্ঞান ফেরার পর তিনি নিজেকে হাসপাতালের বিছানায় দেখতে পান।
হাসিনা আরো জানান, তাঁর এবং মেয়ের গায়ে ছাড়াও ঘরের আলমিরায় ১২ ভরি স্বর্ণালংকার রাখা ছিল। সেই অলংকার, মোবাইল ফোনসেট, নগদ টাকা দুর্বৃত্তরা লুটে নিয়েছে বলে জানান তিনি।
ভৈরব থানার উপপরিদর্শক মো. আবুল খায়ের জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রান্না ঘরের গ্রিল কাটা ও ঘরের মালামাল অগোছালো দেখতে পেয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।