নরসিংদীর মনোহরদীতে চাঞ্চল্যকর মাহফুজ হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন  জেলা ও দায়রা জজ। বিচারক যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ বেগম ফাতেমা নজীব এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি হলেন মনোহরদী উপজেলার কাহেতেরগাঁও গ্রামের ফরিদ মিয়া। যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন একই গ্রামের মোস্তফা হোসেন, জাকির হেসেন বাবুল, সিয়াম মিয়া ওরফে বাবু, তৌহিদ মিয়া, ছানাউল্লাহ, দুলাল মিয়া ও জয়নাল।

আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১০ নভেম্বর  কাহেতেরগাঁও গ্রামের আবদুস সাত্তার ওরফে মনির উদ্দিনের ছেলে মাহফুজ মিয়া বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সকাল পৌনে ৭টার দিকে ফরিদ মিয়া ও তাঁর সহযোগী মোস্তফা হোসেন, জাকির হেসেন বাবুল, সিয়াম মিয়া ওরফে বাবু, তৌহিদ মিয়া, ছানাউল্লাহ, দুলাল মিয়া, জয়নাল লাঠিসোটা ও ছুরি নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসে ডাকাডাকি শুরু করেন। তাঁদের ডাকাডাকিতে মাহফুজ মিয়া ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। ওই সময় ফরিদ মিয়া ও তাঁর সহযোগীদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাহফুজের পেটে আঘাত করেন। পরে মাহফুজকে উদ্ধার করে প্রথমে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফরিদ উদ্দিকে প্রধান আসামি করে মনোহরদী থানায় আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা আবদুস সাত্তার ওরফে মনির উদ্দিন।

মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে মনোহরদী থানা পুলিশ। পরে আদালতের বিচারক ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ আদেশ দেন।