রায়ের পর নারায়ণগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ, গ্রেপ্তার ১৩
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের পর নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। আজ বুধবার এসব ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে চারটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মুগড়াপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ইনামুল হক কবীর, পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নুরুন্নবী মাস্টার ও কাঁচপুর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ইসমাইল। বাকি ১০ জনের নাম জানা যায়নি।
এ সময় তাঁদের কাছ থেকে সাতটি তাজা ককটেল জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলম জানান, রায় ঘোষণার পর সোনারগাঁয়ের মুগড়াপাড়া চৌরাস্তায় ও কাঁচপুর এলাকায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় সাতটি তাজা ককটেলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, দুপুরে নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কে গলাচিপা এলাকায় পরপর আট-দশটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিস্ফোরণকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল বিস্ফোরণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসাইন জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় দুর্বৃত্তরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং কয়েকটি যানবাহনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবং একই থানার অধীনে ভূইগড় এলাকাতেও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।