শপথ নিলেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথ নেওয়া তিন বিচারপতি হলেন জিনাত আরা, আবু বকর সিদ্দিকী ও মো. নুরুজ্জামান ননী।
রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাওয়ার পর গতকাল সোমবার হাইকোর্ট বিভাগ থেকে তিন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ দেয় আইন মন্ত্রণালয়।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. মো. জাকির হোসেন। আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ চারজন এত দিন বিচারপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। প্রধান বিচারপতি ছাড়া বাকিরা হলেন বিচারপতি ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। নতুন নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী আপিল বিভাগের অপর বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আপন বড় ভাই।
নতুন এ নিয়োগের ফলে আপিল বিভাগে বিচারপতি সাতজনে উন্নীত হলো।
বিচারপতি জিনাত আরা : বিচারপতি জিনাত আরা ১৯৫৩ সালের ১৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিসে মুন্সেফ হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে তিনি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০০৩ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি হাইকোর্টে স্থায়ী বিচারক হন। তিনি বাংলাদেশের তৃতীয় নারী বিচারপতি এবং আপিল বিভাগের দ্বিতীয় নারী বিচারপতি হলেন।
বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী : বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ১৯৫৪ সালের ২৯ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ও এলএলবি পাস করে ১৯৭৯ সালে কুষ্টিয়া বার অ্যাসোসিয়েশনে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৮০ সালে তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিসে মুন্সেফ হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৭ সালে তিনি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০০৯ সালে তিনি হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১১ সালে তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন।
বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী : বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী ১৯৫৬ সালের ১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ সাব-ডিভিশনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি জেলা জজ আদালতের তালিকাভুক্ত আইনজীবী হন। ১৯৮৭ সালে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৯ সালে তিনি হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১১ সালে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন।